অনলাইনে কোন কোন কাজ করে টাকা আয় করা যায়–২০টি উপায়

বর্তমানে আমরা সবাই অনলাইন ইনকাম নিয়ে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করি। অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা কি আসলেই সম্ভব? সম্ভব, আপনার ধৈর্য শক্তি এবং কাজের উপর ভিত্তি করে অনলাইন থেকেও মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 



অনলাইনে যে যে কাজগুলো বর্তমানে বেশি জনপ্রিয় এবং টাকা ইনকামের জন্য উপযুক্ত সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা করব। কিভাবে আপনারাও শুরু করে দিতে পারেন অনলাইন ইনকাম। এই লেখাটা পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে হয়। 


অনলাইন ইনকামের কাজগুলো 

অনলাইন ইনকামের জন্য আপনারা সবাই জানেন ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে জনপ্রিয়। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি অনেক কাজে রয়েছে যেগুলো সাহায্যে আপনারা অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফেলেট মার্কেটিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, facebook, youtube, ব্লগ, ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট মেকিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেলিং, ভিডিও এডিটিং, এসইও, facebook অ্যাড, ইউটিউব বুষ্টিং, গুগল এডস ইত্যাদি মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারে। 




ফ্রিল্যান্সিং 

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এক ধরনের মুক্ত পেশা মাধ্যমে আমরা একজনের হয়ে কাজ না করে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তির হয়ে কাজ করে অনলাইনে বা অফলাইনে টাকা ইনকাম করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এক ধরনের পেশা। বর্তমানে এই পেশাটিই অনলাইনে অনেক জনপ্রিয়। অনলাইন ইনকাম মানেই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু বর্তমানে অনেক কিছু আসার ফলে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং একমাত্র পাইনা যার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করা যায়। অনেক অনেক মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারব। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আমরা যেসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করি সেই সব হচ্ছে ফাইবার আপ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার ডটকম কেওয়ার্ক পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি। এইসব হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সাইড যেখানে মুক্ত পেশার ব্যক্তিগণ নিজেদের পেশার দক্ষতা দেখিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিচ্ছে এবং করে দিচ্ছে। আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন শুধুমাত্র একটি দক্ষতা শিখে।


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

বর্তমানে অনেক ই কমার্স ব্যবসা রয়েছে। তাদের মার্কেটিং করার জন্য তারা এফিলিট প্রোগ্রাম নামে একটি অপশন চালু করেছে। যেখান থেকে যে কেউ চাইলেই তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করতে পারে। আমরা সবাই এখন অনলাইন ভিত্তি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে থাকি। আমরা যদি সেই পণ্যগুলো নিজেদের ভাবে বিক্রি করতে পারি বা নিজেদের লিংক থেকে বিক্রি করতে পারি তবে সেই লাভ ধ্বংস থেকে আমরা ২০ থেকে ১০% অর্থ পাব। যেইটা মার্কেটিং এর মাধ্যমেই সম্ভব এখান থেকে অনলাইনে ইনকাম শুরু করা অনেক সহজ। আপনি চাইলে মার্কেটিং প্রোগ্রামে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেই পণ্যের বিক্রি করে নিজের লাভ অংশ নিতে পারেন। আপনি যদি এইভাবে অনেকগুলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে দিতে পারেন তবে আপনার অর্থ এর পরিমাণ অনেক বেশি হবে। আপনাকে এখানে সময় দিয়ে কাজ করতে হবে, তাহলে আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক ভাবে এই উপার্জনটা করতে পারবেন। অনেক সহজে ইনকাম করার জন্য আপনারা এই পদ্ধতিটা অবলম্বন করতে পারেন। এই পদ্ধতি থেকে অনেকেই উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আপনিও কষ্ট করলে এখান থেকে হিউজ পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।


কনটেন্ট ক্রিয়েশন 

আমরা সবাই সকল মিডিয়াতে বেশি একটিভ থাকে। অনেক মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। অনলাইন ভিত্তিক এই একটি মাধ্যম যে এইখান থেকে একবার সফলতা আসলে অনেক পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আপনি কন্টেন্ট তৈরি করে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন ‌ অনলাইনে ইনকাম করা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়, শুধুমাত্র ধৈর্য এবং নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ফিল্ড থেকে অনেক পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কনটেন্ট ক্রিয়েশন করার জন্য বেশি কিছু লাগে না শুধু একটি ফোন এবং নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগালেই সম্ভব। নিজের বুদ্ধিমত্তাকে এমনভাবে কাজে লাগাতে হবে যাতে মানুষের মন জয় করা যায় এবং মানুষজন সেই কনটেন্ট গুলো দেখে। আকর্ষণীয় ভাবে কনটেন্ট তৈরি করলে অনেক কন্টেন্ট ভাইরাল হয়ে যায় এবং সেখান থেকে আরো বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যাবে।


Facebook 

ফেসবুক থেকে অনেক সহজে টাকা ইনকাম করা যায় তার জন্য আপনাকে একটা পেজ থাকা লাগবে। অথবা আপনি নিজের প্রোফাইল কে প্রফেশনাল মোড করে সেখান থেকে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। আপনি ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন বা ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বা ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্যকে বিক্রি করে সেখান থেকে উপার্জন করতে পারেন। সহজ উপার্জন করার জন্য ফেসবুক হচ্ছে অনেক সহজ একটা মাধ্যম। আমাদের ভাই কম বেশি সবাই ফেসবুক ইউজ করে থাকে। ফেসবুকের মধ্যে কোন জিনিস বা পণ্য সহজে বিক্রি করা সম্ভব। ডেলিভারি চার্জ ও অন্যের দাম সহ তার একটি সুন্দর করে অফার তৈরি করুন। তৈরি করার পদে সেখান থেকে মানুষ বুঝতে পারবে আপনি কত টাকাতে সেই জিনিসটা বিক্রি করতে চাচ্ছেন এবং কত টাকা তার খরচ হবে ‌ তার উপকারিতা তাকে দেখান। উপকারটা দেখতে পেলে পণ্য কেনা অনেক সহজ হয়ে যাবে সে সহজেই পণ্য কিনতে চাইবে। ফেসবুক এ আপনারা ভিডিও আপলোড করুন অথবা পণ্য বা সেবাকে বিক্রি করতে শিখুন। এই ধরনের কাজে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।


Facebook Ads

ফেসবুকে ব্যবসা করার সময় আমাদের অল্প সময়ে অধিক মানুষের কাছে কোন সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে। তার জন্য প্রয়োজন আমাদের প্রকার একটা গাইডলাইন এবং অ্যাড । বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফেসবুক অ্যাড প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ডলার স্প্রেড করছে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান। তাদের সেলস বৃদ্ধি করার জন্য। সবাই প্রফেশনাল ভাবে ফেসবুক এডভারটাইজিং করতে পারেনা, ফেসবুক এডভারটাইসিং শিখলে এখান থেকে মানুষকে সার্ভিস দিয়ে তাদের থেকে উপার্জন করা সম্ভব। বর্তমানে দেশি-বিদেশি সকল মানুষজন ফেসবুকে এডস সম্পর্কে জানে। যারা অনলাইনে ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করছে তাদের জন্য ফেসবুক Ads প্রয়োজন... আপনি যদি সঠিকভাবে ফেসবুক এড রান করতে চান বা পারেন তাহলে আপনি এই সার্ভিসটি বিক্রি করে ফাইবার আপ ওয়ার্ক ও অন্যান্য ফিন্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট এদের সেবা প্রদান করে তাদের থেকে অর্থ নিতে পারেন। এইগুলোর জন্য বেশি কিছু প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র প্রয়োজন স্কিল, ফেসবুক এড শেখার জন্য ইউটিউবে সার্চ করুন হাউ টু রান facebook অ্যাড। তাহলে অনেকগুলো ভিডিও আসবে এখান থেকে একটি ভিডিও সিলেক্ট করে শিখতে পারেন। শুধুমাত্র ফেসবুক এড থেকে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনার ফেসবুক অ্যাড সার্ভিসটা লেগে থাকে তো আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নিচে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে। whatsapp নাম্বারে কন্টাক করে আপনি অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবেন ফ্রিতে। 


YouTube 

ফেসবুকের মতন অনেক জনপ্রিয় একটা সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইউটিউব। গুগলের একটা পণ্য হচ্ছে ইউটিউব। এখানে ভিডিও শেয়ার করে থাকি, ভিডিও শেয়ারের ফলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াজ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার হলে আপনি মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। তখন এডসের মাধ্যমে আপনার উপার্জন শুরু হবে। অথবা আপনার জন্য একটা ব্যান্ড বা ব্যবসা থাকে সেই ব্যবসার উন্নতির জন্য ইউটিউবে প্রতিনিয়ত এর ভিডিও আপলোড করা অনেক বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার বন্যার প্রচার করার জন্য ইউটিউব এবং ফেসবুক হচ্ছে অনেক সহজ একটি মাধ্যম সেখানে ফ্রি ব্যবহার করে আপনারা অনেক অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন প্রপার একটি ফেসবুক একাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেল। ( ফেসবুকে এবং youtube চ্যানেল প্রফেশনাল করে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন WhatsApp)

তাহলে আপনি ফেসবুকের মতন youtube থেকে ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন। প্রথমে সুন্দরভাবে একটি স্পিড লিখুন যা নিয়ে আপনি কন্টেন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন। কন্টেন্ট কে সুন্দর ভাবে এডিটিং করুন। যাতে ভিউয়ার্স গুলো আপনার কন্টেন্ট দেখতে পাই এবং বুঝতে পারে আপনি কি শিখাচ্ছেন বা দেখাচ্ছেন। ইউটিউবের জন্য ভিডিও এডিটিং হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ। (ভিডিও এডিটিং সার্ভিস লাগলেও করে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।)


YouTube Boosting 

ফেসবুক এডস এর মতন আরেকটি অ্যাড রান করার স্কিল টা হচ্ছে ইউটিউব বুষ্টিং। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অল্প সময়ে বেশি ভিজিটর প্রয়োজন হয়। যাতে তাদের চ্যানেলের ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পায়। তার জন্য প্রয়োজন সঠিকভাবে অ্যাডভার্টাইজিং বা বুস্টিং করা। অনেকে আছে যাদের এই সার্ভিসটা প্রয়োজন। তাদের সাথে যোগাযোগ করুন & আপনার সার্ভিস এর কথা বলুন—এর মাধ্যমে আপনি কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে সবাই কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তবে আপনি ইউটিউব বুষ্টিং টা শিখে নিতে পারেন। এটার জন্য আপনি ৫০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ নিত পারেন। আপনাকে এটা সুন্দরভাবে শিখতে হবে যাতে সবাই আপনার সার্ভিসটা নিতে চাই। আপনি যত সুন্দর ভাবে মানুষকে বুঝাতে পারবেন তত বেশি ক্লায়েন্ট পাবেন। ইউটিউব বুষ্টিং করেই আপনি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি শিখার জন্য আপনি কোর্স করতে পারেন অথবা আপনি ইউটিউব থেকে ফ্রিতেই শিখতে পারেন। ইউটিউব দেখে ফ্রিতে শিখায় অনেক ভালো পরবর্তীতে আপনার নিজের একটা চ্যালেঞ্জ ক্রিয়েট করে আপনি তা প্র্যাকটিস করুন। প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ রয়েছে_ওইগুলো দেখে কাজ করতে পারেন অথবা যদি আপনার কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য পারফেক্ট একটি প্রফেশনাল চ্যানেল প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন উপরে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে।

ওয়েবসাইট তৈরি 

বর্তমানে বিশ্বের সকল ব্যবসার জন্য একটি পারফেক্ট ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য বিদেশীরা অথবা বাংলাদেশিরা একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপারকে হায়ার করে থাকে। আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিদেশিদের থেকে ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন একটা সাধারণ ওয়েবসাইটের জন্য। আর যদি আপনি আরো ভালো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, কমপ্লিকেটেড ওয়েবসাইট অর্থাৎ কঠিন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি এর জন্য ১০০০ থেকে ২০০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। এরো বেশি হতে পারে আমার ধারণা মতে আপনাদেরকে একটা ধারণা দিলাম। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েও একটি সুন্দর ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ব্লগার দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আপনি যে ওয়েবসাইটটাতে এই আর্টিকেলটা পড়ছেন এটাও একটা ওয়েবসাইট ওয়েবসাইটটা আমি কাস্টমাইজেশন করছি। আপনারা যদি চান এই ধরনের একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে নেবেন তো আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। whatsapp নাম্বার ওপরে দেওয়া আছে। এ ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন শুধু প্রয়োজন ধৈর্য এবং স্কিল। আপনি সাধারণ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য চার্জ করতে পারেন, এগুলো বাংলাদেশ এবং বিদেশ দুই দেশেরই প্রয়োজন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং

আমাদের প্রত্যেকেই ফেসবুক চালিয়ে থাকি। ফেসবুকে এমন কিছু দেখি যেগুলো আমাদের মনকে আকর্ষণ তৈরি করে। এমন কিছু পোস্ট দেখি যেগুলো দেখলেই মন শান্ত হয়ে যায় এবং চোখগুলো থমকে যায়। সে পোস্টটা দেখে। পোস্টগুলোকে ডিজাইন করার জন্য আমরা ডিজাইনার কে হায়ার করে থাকি, গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে অনেক বড় একটি ইন্ডাস্ট্রি যেখান থেকে আপনারা হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার আছে যারা প্যাসিভ এবং একটিভ দুই ধরনের ইনকাম করে থাকেন শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সেল করে। এসব সেল করার জন্য আপনার প্রয়োজন স্কিল। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাত্র এক বছরে শিখে যেতে পারবেন। আরো যদি সহজে শিখতে চান তবে আপনি ইউটিউবে দেখতে পারেন, পরবর্তীতে কোন একটি ভালো আইডি দেখে সেই খানে ভর্তি হয়ে আপনি কোর্স করুন। কোর্স করলে আপনি আরো বেশি ধারণা পাবেন। সাথে সাথে আপনার ইনকাম চালিয়ে যান। এভাবে আপনি একটা বড় ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন এবং বিদেশিদের থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য চার্জ করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য প্রয়োজন ক্রিয়েটিভ মাইন্ড। আপনি যদি একজন ক্রিয়েটিভ মাইন্ডের মানুষ হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন হবে খুব ভালো একটি ইন্ডাস্ট্রি। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো দেখতে আপনি ফাইবারে গিয়ে সার্চ করুন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং তাহলে বুঝতে পারবেন কতগুলো কাজ রয়েছে এবং কত টাকা করে নিয়ে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং 

ব্যবসার প্রচার-প্রচারণা করার জন্য মার্কেটিং করে থাকে। তা হচ্ছে ট্রেডিশনাল মার্কেটিং, কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে বর্তমানে সবকিছু প্রযুক্তিভিত্তিক হয়ে গেছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করার পদ্ধতিকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেন তবে আপনি বিভিন্ন ধরনের লোকাল ব্যবসা কে সেবা দিয়ে তাদের থেকে আয় করতে পারেন অথবা বিদেশিদেরকে সার্ভিস দিয়ে আপনি এটা থেকে অনেক ইনকাম করতে পারবেন। অনেক বলতে অনেক ইনকাম করতে পারবেন—সকল ব্যবসায়ীরায় চাই তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি পাক এবং অনেক বেশি বিক্রি হোক..


তার জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রচার প্রচারণা। এ সার্ভিসটি বিক্রি করেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিক্রি করে। বিদেশিদের কথা তো বাদই দিলাম!
আপনি যদি তাদের ব্যবসাকে সঠিকভাবে প্রচার-প্রচারণা করে দিতে পারেন তবে তারা চাইবে আপনার সাথে কাজ করতে। বিদেশি রাও এই কাজের জন্য অনেক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটের হায়ার করে থাকে। আপনিও একটা ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে ইনকাম করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতন এটাও একটি ইন্ডাস্ট্রি। ইন্ডাস্ট্রি থেকে আপনি লোকাল মার্কেটে এবং গ্লোবাল মার্কেট দুটাই টার্গেট করতে পারবেন যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন এ করা যায়। প্রত্যেক ব্যবসারি প্রচার-প্রচারণা করার প্রয়োজন হয়ে থাকে তার জন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটার লাগবেই যদি সে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রচার-প্রচারণা চালাতে চাই। এইটার খরচ অনেক কম এবং সহজেই অনেক কাস্টমারকে পাওয়া যায়। এ কারণগুলোকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ব্যবসা অনলাইনে মার্কেটিং করছে। 
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে খালিদ ফারহান* তিনি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার এবং এসইও এক্সপার্ট। তার ভিডিও গুলো দেখে আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।

প্রোডাক্ট রিসেলিং

আপনার যদি কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস না থেকে থাকে তবে আপনি প্রোডাক্ট রিসেলিং করতে পারেন। এখান থেকে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি সঠিকভাবে মার্কেটিং নলেজ এবং রিসেলিং করতে পারেন। অন্য কোন ব্যবসার পণ্য বা সার্ভিসকে আপনি বিক্রি করবেন এটাই প্রোডাক্ট রিসলিং। প্রোডাক্ট রিসেলিং সম্পর্কে জানার জন্য ইউটিউবে সার্চ করবেন কিভাবে প্রোডাক্ট রিসেলিং করতে হয়। এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পাবেন এখান থেকে একটা ভিডিও চয়েজ করে আপনি সেখান থেকে ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন কিভাবে রিসেলিং করতে হয় ‌। রিসেলিং করার জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক প্রোডাক্ট এবং মানুষের চাহিদা। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যদি আপনি প্রোডাক্ট রিসেলিং করতে পারেন তবে আপনি সেইখান থেকে অনেক পরিমাণে রিভিউ জেনারেট করতে পারবেন। আপনাকে সঠিকভাবে রিসেলিং করার প্রক্রিয়া জানা লাগবে–কিভাবে প্রোডাক্ট রিসেলিং করতে হয় এই জিনিসটা যদি আপনি ভালোভাবে শিখতে পারেন তবে আপনি এইখান থেকেই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষজনের কাছে বিক্রি করে। যদি আপনি বিশ্বব্যাপী বিক্রি করতে চান তবে বাংলাদেশের থেকে বিদেশে বিক্রি করলে অনেক বেশি ইনকাম হবে। আপনি শুরুতেই বাংলাদেশেই করবেন বিদেশীরা সহজেই মানুষকে ট্রাস্ট করতে চাই না। আপনাকে আগে বিশ্বস্ত হতে হবে এবং একটা বিশ্বস্ত ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যাতে আপনি প্রোডাক্ট রিসেলিং করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট

শুধুমাত্র যে ওয়েবসাইট তৈরি করে ই ইনকাম করা যায় এমনটা নয়। ওয়েবসাইটকে ম্যানেজমেন্ট করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। অনেক জনের অনেক কাজ থাকে যার জন্য তারা ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে মেনটেন করতে পারে না। আপনি যদি তাদের ওয়েবসাইটটিকে সঠিকভাবে মেনটেন করতে পারেন তবে আপনি তাদের থেকে মাসিক ভিত্তিতে ১০০০ থেকে ২০০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারবেন। তাদের যেমন ইনকাম হয় ওয়েবসাইট থেকে তেমন তারা হায়ার উপরে থাকে। আপনার সঠিক গাইডলাইন প্রয়োজন তার জন্য আপনি ইউটিউবে সার্চ করবেন কিভাবে ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট গুল্ডার রয়েছে যাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনি কাজ আরো সহজ হয়ে যাবে। যদি এগুলো ভালোভাবেই শিখতে পারেন তবে আপনি বাংলাদেশ থেকেই ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট করে এক থেকে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য ফাইবারে একটি গিগ পাবলিশ করুন। যাতে মানুষজন বুঝতে পারে আপনি কোথায় কি বিক্রি করেন। নিজের একটা পোর্টফোলিও তৈরি করুন যাদের মানুষজন বুঝতে পারে আপনি কি কাজ করেন। এবং বিদেশীদের খুঁজুন যারা ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্টের জন্য মানুষ খুজতেছে। তাদের থেকে সঠিকভাবে কাজ বুঝে নিয়ে মোটা অংশের টাকা নিতে পারেন।


ভিডিও এডিটিং 

বর্তমানে ভিডিও এডিটিং সেক্টরে অনেক রিভলিউশন বা বিপ্লব হয়েছে। প্রত্যেক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জন্য ভিডিও এডিটর প্রয়োজন। আপনি যদি দক্ষ ভিডিও এডিটর হয়ে থাকেন তবে তাদেরকে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রদান করে আপনি তাদের থেকে টাকা নিতে পারেন। ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে জানার জন্য আপনার ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন কিভাবে ভিডিও এডিট করতে হয়। আপনারা চাইলে CapCut, VN, Premier pro etc এ ধরনের সফটওয়্যার এর ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং করতে পারেন এবং শিখতে পারেন। এইগুলো শিখলে আপনাদের নিজেদের ভিডিও এডিট করতে পারবেন সাথে সাথে মানুষকে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রদান করে তাদের থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টাকা ইনকাম করার জন্য যে সকল উপায় রয়েছে তাদের মধ্যে ভিডিও এডিটিং রয়েছে । ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য ইউটিউব হচ্ছে বেস্ট প্লাটফর্ম এবং নিজেকে প্র্যাকটিস করতে হবে প্রতিনিয়ত। কিভাবে ক্লাইন্ট পাবেন ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য আপনি ফাইবার upwork এর মত মার্কেটপ্লেস এর কাজ খুঁজতে পারেন। তাহলে আপনারা ভিডিও এডিটিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্ট পাবেন এবং বিভিন্ন দেশের।

SEO Service 

ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করার জন্য দক্ষ মানুষ প্রয়োজন। বিভিন্ন কোম্পানি এবং লোকাল বিজনেস গুলো সার্চ ইঞ্জিনের উপরে আসার জন্য চেষ্টা করছে। আপনি যদি এসইও সার্ভিস বিক্রি করেন বা দক্ষ একজন এসিও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তবে এই সার্ভিসগুলোই বিক্রি করে আপনি বিদেশিদের থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। ডলার ইনকাম করার জন্য শুধু প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন এবং সঠিক একটি সার্ভিস। এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন সাথে সাথে নিজের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের উপরে আনতে পারবেন। এই সার্ভিসের জন্য অনেক মানুষজন রয়েছে কিন্তু দক্ষ মানুষ জনের অভাব। দক্ষ ভাবে এসইও সার্ভিসটি শিখতে পারলে আপনি বিদেশের কাজ পেতে পারেন।

শেষ কথা

উপরের প্রত্যেকটি সার্ভিস যদি আপনি ভালোভাবে রপ্ত করতে পারেন এবং সঠিকভাবে বিক্রি করতে পারেন তবে আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আমি নিজেও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম করছি। তাই ধৈর্য ধরে কাজ করতে থাকুন ইনশাল্লাহ অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এই ধরনের ইনকাম রিলেটেড আর্টিকেল পড়ার জন্য Shaharia Hub ফলো করুন..
Next Post Previous Post