অনলাইনে কোন কোন কাজ করে টাকা আয় করা যায়–২০টি উপায়
বর্তমানে আমরা সবাই অনলাইন ইনকাম নিয়ে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করি। অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা কি আসলেই সম্ভব? সম্ভব, আপনার ধৈর্য শক্তি এবং কাজের উপর ভিত্তি করে অনলাইন থেকেও মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
অনলাইনে যে যে কাজগুলো বর্তমানে বেশি জনপ্রিয় এবং টাকা ইনকামের জন্য উপযুক্ত সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা করব। কিভাবে আপনারাও শুরু করে দিতে পারেন অনলাইন ইনকাম। এই লেখাটা পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে হয়।
অনলাইন ইনকামের কাজগুলো
অনলাইন ইনকামের জন্য আপনারা সবাই জানেন ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে জনপ্রিয়। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি অনেক কাজে রয়েছে যেগুলো সাহায্যে আপনারা অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফেলেট মার্কেটিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, facebook, youtube, ব্লগ, ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট মেকিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেলিং, ভিডিও এডিটিং, এসইও, facebook অ্যাড, ইউটিউব বুষ্টিং, গুগল এডস ইত্যাদি মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারে।
![]() |
ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এক ধরনের মুক্ত পেশা মাধ্যমে আমরা একজনের হয়ে কাজ না করে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তির হয়ে কাজ করে অনলাইনে বা অফলাইনে টাকা ইনকাম করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এক ধরনের পেশা। বর্তমানে এই পেশাটিই অনলাইনে অনেক জনপ্রিয়। অনলাইন ইনকাম মানেই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। কিন্তু বর্তমানে অনেক কিছু আসার ফলে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং একমাত্র পাইনা যার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করা যায়। অনেক অনেক মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারব। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আমরা যেসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করি সেই সব হচ্ছে ফাইবার আপ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার ডটকম কেওয়ার্ক পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি। এইসব হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সাইড যেখানে মুক্ত পেশার ব্যক্তিগণ নিজেদের পেশার দক্ষতা দেখিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিচ্ছে এবং করে দিচ্ছে। আপনিও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন শুধুমাত্র একটি দক্ষতা শিখে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বর্তমানে অনেক ই কমার্স ব্যবসা রয়েছে। তাদের মার্কেটিং করার জন্য তারা এফিলিট প্রোগ্রাম নামে একটি অপশন চালু করেছে। যেখান থেকে যে কেউ চাইলেই তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করতে পারে। আমরা সবাই এখন অনলাইন ভিত্তি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে থাকি। আমরা যদি সেই পণ্যগুলো নিজেদের ভাবে বিক্রি করতে পারি বা নিজেদের লিংক থেকে বিক্রি করতে পারি তবে সেই লাভ ধ্বংস থেকে আমরা ২০ থেকে ১০% অর্থ পাব। যেইটা মার্কেটিং এর মাধ্যমেই সম্ভব এখান থেকে অনলাইনে ইনকাম শুরু করা অনেক সহজ। আপনি চাইলে মার্কেটিং প্রোগ্রামে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেই পণ্যের বিক্রি করে নিজের লাভ অংশ নিতে পারেন। আপনি যদি এইভাবে অনেকগুলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে দিতে পারেন তবে আপনার অর্থ এর পরিমাণ অনেক বেশি হবে। আপনাকে এখানে সময় দিয়ে কাজ করতে হবে, তাহলে আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনলাইন ভিত্তিক ভাবে এই উপার্জনটা করতে পারবেন। অনেক সহজে ইনকাম করার জন্য আপনারা এই পদ্ধতিটা অবলম্বন করতে পারেন। এই পদ্ধতি থেকে অনেকেই উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আপনিও কষ্ট করলে এখান থেকে হিউজ পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন
আমরা সবাই সকল মিডিয়াতে বেশি একটিভ থাকে। অনেক মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। অনলাইন ভিত্তিক এই একটি মাধ্যম যে এইখান থেকে একবার সফলতা আসলে অনেক পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আপনি কন্টেন্ট তৈরি করে নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন অনলাইনে ইনকাম করা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়, শুধুমাত্র ধৈর্য এবং নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ফিল্ড থেকে অনেক পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কনটেন্ট ক্রিয়েশন করার জন্য বেশি কিছু লাগে না শুধু একটি ফোন এবং নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগালেই সম্ভব। নিজের বুদ্ধিমত্তাকে এমনভাবে কাজে লাগাতে হবে যাতে মানুষের মন জয় করা যায় এবং মানুষজন সেই কনটেন্ট গুলো দেখে। আকর্ষণীয় ভাবে কনটেন্ট তৈরি করলে অনেক কন্টেন্ট ভাইরাল হয়ে যায় এবং সেখান থেকে আরো বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
ফেসবুক থেকে অনেক সহজে টাকা ইনকাম করা যায় তার জন্য আপনাকে একটা পেজ থাকা লাগবে। অথবা আপনি নিজের প্রোফাইল কে প্রফেশনাল মোড করে সেখান থেকে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। আপনি ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন বা ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বা ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্যকে বিক্রি করে সেখান থেকে উপার্জন করতে পারেন। সহজ উপার্জন করার জন্য ফেসবুক হচ্ছে অনেক সহজ একটা মাধ্যম। আমাদের ভাই কম বেশি সবাই ফেসবুক ইউজ করে থাকে। ফেসবুকের মধ্যে কোন জিনিস বা পণ্য সহজে বিক্রি করা সম্ভব। ডেলিভারি চার্জ ও অন্যের দাম সহ তার একটি সুন্দর করে অফার তৈরি করুন। তৈরি করার পদে সেখান থেকে মানুষ বুঝতে পারবে আপনি কত টাকাতে সেই জিনিসটা বিক্রি করতে চাচ্ছেন এবং কত টাকা তার খরচ হবে তার উপকারিতা তাকে দেখান। উপকারটা দেখতে পেলে পণ্য কেনা অনেক সহজ হয়ে যাবে সে সহজেই পণ্য কিনতে চাইবে। ফেসবুক এ আপনারা ভিডিও আপলোড করুন অথবা পণ্য বা সেবাকে বিক্রি করতে শিখুন। এই ধরনের কাজে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
Facebook Ads
ফেসবুকে ব্যবসা করার সময় আমাদের অল্প সময়ে অধিক মানুষের কাছে কোন সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে। তার জন্য প্রয়োজন আমাদের প্রকার একটা গাইডলাইন এবং অ্যাড । বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফেসবুক অ্যাড প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ডলার স্প্রেড করছে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান। তাদের সেলস বৃদ্ধি করার জন্য। সবাই প্রফেশনাল ভাবে ফেসবুক এডভারটাইজিং করতে পারেনা, ফেসবুক এডভারটাইসিং শিখলে এখান থেকে মানুষকে সার্ভিস দিয়ে তাদের থেকে উপার্জন করা সম্ভব। বর্তমানে দেশি-বিদেশি সকল মানুষজন ফেসবুকে এডস সম্পর্কে জানে। যারা অনলাইনে ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করছে তাদের জন্য ফেসবুক Ads প্রয়োজন... আপনি যদি সঠিকভাবে ফেসবুক এড রান করতে চান বা পারেন তাহলে আপনি এই সার্ভিসটি বিক্রি করে ফাইবার আপ ওয়ার্ক ও অন্যান্য ফিন্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট এদের সেবা প্রদান করে তাদের থেকে অর্থ নিতে পারেন। এইগুলোর জন্য বেশি কিছু প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র প্রয়োজন স্কিল, ফেসবুক এড শেখার জন্য ইউটিউবে সার্চ করুন হাউ টু রান facebook অ্যাড। তাহলে অনেকগুলো ভিডিও আসবে এখান থেকে একটি ভিডিও সিলেক্ট করে শিখতে পারেন। শুধুমাত্র ফেসবুক এড থেকে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনার ফেসবুক অ্যাড সার্ভিসটা লেগে থাকে তো আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নিচে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে। whatsapp নাম্বারে কন্টাক করে আপনি অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবেন ফ্রিতে।
YouTube
ফেসবুকের মতন অনেক জনপ্রিয় একটা সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইউটিউব। গুগলের একটা পণ্য হচ্ছে ইউটিউব। এখানে ভিডিও শেয়ার করে থাকি, ভিডিও শেয়ারের ফলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াজ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার হলে আপনি মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। তখন এডসের মাধ্যমে আপনার উপার্জন শুরু হবে। অথবা আপনার জন্য একটা ব্যান্ড বা ব্যবসা থাকে সেই ব্যবসার উন্নতির জন্য ইউটিউবে প্রতিনিয়ত এর ভিডিও আপলোড করা অনেক বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার বন্যার প্রচার করার জন্য ইউটিউব এবং ফেসবুক হচ্ছে অনেক সহজ একটি মাধ্যম সেখানে ফ্রি ব্যবহার করে আপনারা অনেক অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন প্রপার একটি ফেসবুক একাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেল। ( ফেসবুকে এবং youtube চ্যানেল প্রফেশনাল করে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন WhatsApp)
তাহলে আপনি ফেসবুকের মতন youtube থেকে ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন। প্রথমে সুন্দরভাবে একটি স্পিড লিখুন যা নিয়ে আপনি কন্টেন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন। কন্টেন্ট কে সুন্দর ভাবে এডিটিং করুন। যাতে ভিউয়ার্স গুলো আপনার কন্টেন্ট দেখতে পাই এবং বুঝতে পারে আপনি কি শিখাচ্ছেন বা দেখাচ্ছেন। ইউটিউবের জন্য ভিডিও এডিটিং হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ। (ভিডিও এডিটিং সার্ভিস লাগলেও করে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।)
YouTube Boosting
ফেসবুক এডস এর মতন আরেকটি অ্যাড রান করার স্কিল টা হচ্ছে ইউটিউব বুষ্টিং। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অল্প সময়ে বেশি ভিজিটর প্রয়োজন হয়। যাতে তাদের চ্যানেলের ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পায়। তার জন্য প্রয়োজন সঠিকভাবে অ্যাডভার্টাইজিং বা বুস্টিং করা। অনেকে আছে যাদের এই সার্ভিসটা প্রয়োজন। তাদের সাথে যোগাযোগ করুন & আপনার সার্ভিস এর কথা বলুন—এর মাধ্যমে আপনি কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে সবাই কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তবে আপনি ইউটিউব বুষ্টিং টা শিখে নিতে পারেন। এটার জন্য আপনি ৫০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ নিত পারেন। আপনাকে এটা সুন্দরভাবে শিখতে হবে যাতে সবাই আপনার সার্ভিসটা নিতে চাই। আপনি যত সুন্দর ভাবে মানুষকে বুঝাতে পারবেন তত বেশি ক্লায়েন্ট পাবেন। ইউটিউব বুষ্টিং করেই আপনি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি শিখার জন্য আপনি কোর্স করতে পারেন অথবা আপনি ইউটিউব থেকে ফ্রিতেই শিখতে পারেন। ইউটিউব দেখে ফ্রিতে শিখায় অনেক ভালো পরবর্তীতে আপনার নিজের একটা চ্যালেঞ্জ ক্রিয়েট করে আপনি তা প্র্যাকটিস করুন। প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ রয়েছে_ওইগুলো দেখে কাজ করতে পারেন অথবা যদি আপনার কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য পারফেক্ট একটি প্রফেশনাল চ্যানেল প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন উপরে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে।